স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধ দিয়েও কোনো সুফল মিলছে না। বরং দিন যত যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সবশেষ রোববার পর্যন্ত বিগত নয় দিনেই আক্রান্ত হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে টানা ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়।
করোনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর ৩ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর লাখের ঘরে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১০৭ দিন। আর এই সংখ্যা ১০ লাখের সীমা ছাড়ায় চলতি বছরের ৯ জুলাই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোববার পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
তবে শুধু আক্রান্তই নয়। দেশে করোনায় মৃত্যুও বেড়েছে আগের তুলনায়। এখন প্রতিদিন গড়ে ২০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। এরই মধ্যে দেশে মোট মৃত্যু সাড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। ফলে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। একইসাথে বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থবিধি কার্যকরের পাশাপাশি দ্রুত টিকাদানের পরিধি বাড়ানো। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা বা কোভিড থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে টিকাদান নিশ্চিত করা।